স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় হামলার শিকার যুবলীগের ৭ নেতাকর্মী

মানিকগঞ্জে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়েছেন জেলা যুবলীগের সাতজন নেতা-কর্মী। গুরুতর আহত তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রোববার শহরের বাসস্ট্যান্ডের জয়রা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
আহতরা হলেন- জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজার ছোট ভাই আল-রাফি, মবিন, অনন্য, সামিউল আলীম রনি, সুজন খন্দকার, উজ্জল সওদাগর ও মনির হোসেন।
পুলিশ ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পূর্বনির্ধারিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ছিল। জেলা যুবলীগের আহ্বায়কের পক্ষে তার ছোট ভাই আল-রাফির নেতৃত্বে কমিটির সদস্য সামিউল আলীম রনি, সুজন খন্দকারসহ ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী মোটরসাইকেলে করে অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। তাদের মোটরসাইকেল শহরের বাসস্ট্যান্ডের জয়রা এলাকায় ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি হাসপাতালের সামনে পৌঁছামাত্র সিএনজি ও হেলোবাইকের লাইনম্যান ইসমাইল ও উসমানের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের কয়েক সহযোগী একত্র হয়ে কাঠের বাটাম, লোহার পাইপ ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এদের মধ্যে আল-রাফির মাথায় আটটি, মবিনের হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১৭টি ও অনন্যের ডান হাতের কবজি ভেঙে গেছে।
আহত সামিউল আলীম রনি বলেন, ‘আমরা রাজা ভাইয়ের পক্ষে মন্ত্রী মহোদয়ের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যাচ্ছিলাম। বাসস্ট্যান্ডের জয়রা এলাকায় পৌঁছামাত্র লাইনম্যান ইসমাইল ও উসমানের সঙ্গে যানজট নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়। এ সময় তাদের পক্ষে কিছু যুবক লাঠি, চাপাতি ও লোহার রড নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের সঙ্গে থাকা ৮-১০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।আমরা জেনেছি, যারা হামলা করেছে তারা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলামের অনুসারী। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে রাফিসহ আহতদের দেখে এসেছি। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াসহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার আজকের পত্রিকা বলেন, ‘এ ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভেযোগ দায়ের করা হয়েছে । তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’