ভারতের আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: যা বললেন মমতাজ

টাকা নিয়ে অনুষ্ঠান করতে না আসায় বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় সম্প্রতি মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ভারতের বহরমপুর আদালত। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন মমতাজ। মমতাজের দাবি, শক্তি সংকর বাগচি নামে এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় একাধিকবার তিনি আলাদতে হাজিরও হয়েছেন।
বুধবার দুপুরে মমতাজ তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা জানান।
মমতাজের দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘আমার প্রিয় এলাকাবাসী ও সারা দেশে আমার গানের ভক্ত আশেকান এবং আমার শুভাকাঙ্ক্ষী যারা রয়েছেন, তারা কয়দিন যাবত একটা নিউজ-এর পরিপ্রেক্ষিতে খুব মন খারাপ করে আছেন এবং এটার সত্যতা কতটুকু জানতে চাচ্ছেন। আমি বিদেশ ছিলাম, ১৪ আগস্ট দেশে ফিরেই ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবস নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় কাটাই বলে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। হ্যাঁ, এই কথা সত্য যে বেশ অনেক বছর আগে ভারতে বহরমপুর কোর্টে আমার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি একটা মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করেন, যার মূল উদ্দেশ্যে ছিল আমাকে ভয় দেখিয়ে কিছু টাকা হাতিয়ে নেওয়া আর ওই ব্যক্তি ছাড়া আমি যেন কারও মাধ্যমে ভারতে কোনো কনসার্ট করতে না পারি।
‘কোনো ডকুমেন্ট ছাড়া ১৪ লাখ টাকা নেওয়ার একটি মিথ্যা মামলা উনি সাজিয়েছেন যার কোনো প্রমাণ এই ১৪/১৫ বৎসরে কোর্টে দাখিল করতে পারেনি। এই বৎসর আমি ২ বার কোর্টে হাজির হই কিন্তু দুঃখের বিষয় মামলার বাদি ২ বারই অসুস্থ বলে কোর্টে অনুপস্থিত থাকেন, তার মূল উদ্দেশ্যে হলো আমাকে হয়রানি করা। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দ্রুত এই মামলাটি যাতে শেষ হয় বিজ্ঞ আদালতকে অনুরোধ করি। কিন্তু আদালত শেষ যে তারিখটি দিয়ে ছিলো ওই সময় আমার আগে থেকেই কানাডায় একটা প্রোগ্রাম নেওয়া ছিলো বিধায় আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি তবে আমি আদালতকে এই বিষয়ে অবহিত করি এবং পরবর্তীতে একটা সময় চাইলে বিজ্ঞ আদালত সেটা গ্রহণ করে আমাকে সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখ পুনরায় ডেট দেন। আশা করি আমি ৮ তারিখে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত একটা সিদ্ধান্ত নিবেন এবং পরবর্তী কি করণীয় তা জানতে পারবো।’