হরিরামপুরে আধা ঘন্টায় পদ্মার পেটে ১২টি বাড়ি

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে আধা ঘন্টার ভাঙনে পদ্মায় বিলীন হয়েছে ১২টি বাড়ি। ভাঙন ঝুঁকিতে আছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর।
সোমবার রাত নয়টার দিকে এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার ধূলশুড়া ইউনিয়নের আবিধারা ও ইসলামপুর গ্রামে।
ধূলশুড়া ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের গৃহবধূ ময়না বেগম বলেন, ‘কাল রাত নয়টার দিকে মনে হইলো ভূমিকম্প শুরু হইছে। ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যেই পাঁচ মণ সরিষা, ৫০ মণ ধান, চার মণ তিলসহ আমাগো বাড়ি পদ্মায় নিয়া গেছে। আমরা এখন পথের ফকির হয়ে গেছি।’
একই গ্রামের কাঞ্চন বেপারি বলেন, ‘আধা ঘন্টায় আমগো সব শ্যাষ হইয়া গেছে। আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি, আমগো এমন দশা হইবো। আমরা এখন কই যামু। স্থায়ী বেড়ি বাঁধ না হইলে যা আছে তাও থাকবো না।’
ধূলশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ খান বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে ভূমিকম্প হচ্ছে। গতকাল রাতে অল্প সময়ের মধ্যেই ১২টা বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া বিলীনের পথে ৪৬নং চর মুকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির একটি পিলার ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। দ্রুত বেড়ি বাঁধ করার আহ্বান জানান তিনি।’
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তাপসী রাবেয়া বলেন, ‘আমি ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবগত করেছি। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বিভাগ কাজ করছে। এবং ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘সকাল থেকে স্পটে রয়েছি। এ এলাকায় পানি উন্নয়ন বিভাগ থেকে আপদকালীন সময়ে ১২০০ মিটার কাজ চলছে। জিও ব্যাগের পাশাপাশি, জিও টিউব ও ডাম্পিং শুরু করেছি। আশা করি ভাঙন রোধ হবে।’