নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে গিয়ে বিপাকে ইউএনও!

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ধূলশুড়া ইউনিয়নে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে বালু ব্যবসায়ীদের রোষের মুখে পড়েন হরিরামপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও তাপসী রাবেয়া। পরে ঢাকার জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার ধূলশুড়া ইউনিয়ন এলাকার পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
ইউএনও তাপসী রাবেয়া বলেন, ‘হরিরামপুরের ধূলশুড়া এলাকার পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের ধরতে তিনজন পুলিশ সদস্য, আনসারসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বের হই। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই ঢাকার দোহার উপজেলার বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে হরিরামপুর উপজেলার সীমনায় এসে বালু কাটছেন। তখন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের ড্রেজার ও বাল্কহেড জব্দ করি।’
তিনি আরো বলেন, জব্দকৃত ড্রেজার ও বাল্কহেডটি নিয়ে আসার সময় দোহার থেকে স্পিডবোট ও নৌকা নিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক লোক আমাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় ড্রেজারটি তারা নিয়ে যায়। তবে বালু ভর্তি বাল্কহেড আমি ছাড়িনি। পরে আমাকেসহ বাল্কহেডটি চালিয়ে হরিরামপুর থেকে ঢাকার দোহারে নিয়ে যায়। সাথে সাথে আমি মানিকগঞ্জের ডিসি স্যারকে অবহিত করি। পরে তিনি ঢাকা জেলার ডিসি স্যারকে জানালে দোহারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম মুস্তাফিজুর রহমান মৈনট ঘাটে আসেন। আমি দোহারের এসিল্যান্ডকে বাল্কহেডটি বুঝিয়ে দিয়ে হরিরামপুর চলে আসি।
দোহারের এসিল্যান্ড মুস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘বাল্কহেডটি মৈনটঘাটে পৌঁছলে তিনি সেখানে যান। হরিরামপুরের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও বাল্কহেডটি মৌখিকভাবে বুঝিয়ে দিয়ে নিজের কর্মক্ষেত্রে চলে যান। এখন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জব্দ বাল্কহেডটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’