বর্তমানে দেশে মানবাধিকার বলতে কিছু নেই : জামায়াত

দেশে বর্তমানে মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকারসহ সব কিছুই কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
‘আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের শাসনামলে গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ছাত্র, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ৬৪৫ জনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা অপহরণ করে গুম করেছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের (এএইচআরসি) হিসেবে এখনো ১৫৩ ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। যারা গত ১৩ বছরে বিভিন্ন সময়ে গুম হয়েছেন।
হংকংভিত্তিক এই সংস্থার মতে, ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৬২৩ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত অবস্থায় ফিরে এসেছেন বা পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৩৮৩ জনকে। তিনজনের বিষয়ে কোনো তথ্যই জানা যায়নি। আমি গুম হওয়া মানুষদের প্রতি গভীর উদ্বেগ এবং তাদের আত্মীয়স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করছি।
বিবৃতি আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ‘গুম’ বা ‘নিখোঁজ’ ইস্যুতে বিদেশিদেরও আগ্রহ রয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গুমের শিকার ব্যক্তিদের বাসায় গিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। এমনকি গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের খোঁজ নিতে গিয়ে অনেকে হামলার শিকার হয়েছেন। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট বাংলাদেশ সফর করেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ বিভিন্ন সময় গুমের শিকার হওয়া ৭৬ জনের একটি তালিকা ২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকারকে হস্তান্তর করেন।