১৪ বছর পালিয়ে থেকেও রক্ষা হলনা নাসিরের

চাঞ্চল্যকর ফজলু হত্যা মামলায় ১৪ বছর পালিয়ে থাকার পর মানিকগঞ্জে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন নাসির উদ্দিন (৩২) নামের এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী। এর আগে, আজ দুপুরে জেলার সাটুরিয়া উপজেলার জান্না বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।
গ্রেফতার নাসির মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চর দিঘলিয়া গ্রামের হাকিম আলীর ছেলে। অপরদিকে, নিহত ফজলু শেখ ঘিওর উপজেলার সিংজুরী গ্রামের ফুঁলচান শেখের ছেলে।
র্যাব জানায়, নিহত ফজলু শেখের সাথে আসামী নাসিরের বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক ছিল। নিহত ফজলু বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। সাটুরিয়া থানার গোলড়া গ্রামের রিতা নামের এক যুবতির সাথে তাদের দুজনের সখ্যতা ছিল। রিতার সাথে প্রেমের সর্ম্পক নিয়ে দুজনের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জের ধরে ২০০৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাতে নাসির কৌশলে ফজলুকে নিয়ে বেউথা কালীগঙ্গা নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে নাসির ফজুলকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, ‘হত্যাকান্ডের পরদিন নদীর পাড় থেকে পুলিশ অজ্ঞাতনামা একটি মরদেহ উদ্ধার করে। সুরতহাল শেষে সদর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে অজ্ঞাতনামা মরদেহ শনাক্ত হয় এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ নাসিরকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। পরে নাসির জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। কিছুদিন পর পুলিশ নাসিরসহ আরো তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে নাসিরকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। পাশাপাশি আদালত অপর দুই আসামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।’
আরিফ হোসেন আরো জানান, ‘নাসির তিনমাস কারাভোগ শেষে জামিনে বের হয়ে কৌশলে দুবাই চলে যায়। সম্প্রতি সে দুবাই থেকে এসে সাটুরিয়া থানা এলাকায় নাম পরিবর্তন করে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে কাঠমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে ছিলেন। গ্রেফতার নাসিরকে সাটুরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’