যুবককে দাঁড়ি কেটে ফেলার নির্দেশ ইউপি চেয়ারম্যানের

Feb 22, 2024 - 16:21
 0  18
যুবককে দাঁড়ি কেটে ফেলার নির্দেশ ইউপি চেয়ারম্যানের

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে মাসুদ রানা নামের এক যুবককে মারধর ও তার দাঁড়ি কেটে ফেলার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মানিক ও তার ছেলে দীপুর বিরুদ্ধে। 

গত মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার বাস্তা বাজারে ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ভুক্তভোগী মাসুদ হরিরামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

মাসুদ হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের সুরাই গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে। তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় একটি ইন্টারনেট সার্ভিস অফিসের লাইনম্যান হিসেবে কর্মকত। 

ভুক্তভোগী মাসুদ জানান, ঘটনার দিন তিনি পেঁয়াজ ক্ষেতের জন্য কীটনাশক কিনতে বাস্তা বাজারে যান। দোকানদারের কাছে টাকার ভাংতি না থাকায় তিনি অন্য দোকানে ভাংতি করার জন্য রাস্তা পার হচ্ছিল। এসময় চেয়ারম্যান মানিকের ছেলে দিপু দিকে তাকালে সে এসেই উত্তেজিত হয়ে তাকে শার্টের কলার ধরে মারধর করে। একপর্যায়ে মানিক চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে তাকে দাড়ি কাটার নির্দেশ দেয়। পরে তিনি বাধ্য হয়ে সেলুনে গিয়ে তার দাড়ি কেটে ফেলে। 

বাস্তা গ্রামের বাসিন্দা আওলাদ হোসেন জানান, চেয়ারম্যান মানিক মাসুদকে বলে তোরে যদি এই বাজারে আবার দেখি তাহলে তোর খবর আছে। আর তোর দাড়ি এত বেঢক কেন। এখনি এই দাড়ি কামিয়ে বাড়ি যাবি। 

মাসুদের বড় ভাই বাদশা জানান, আমার ভাই ঢাকার দোহারে চাকরি করে। দুই দিন আগে বাড়ি আইছে। কাল বাজারে আসলে বাজারের চেয়ারম্যান ও তার ছেলে তাকে মারধর করছে। জোর করে তার মুখের দাঁড়ি কেটে ফেলতে বাধ্য করেছে। 

এ বিষয়ে বাল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বাচ্চু মিয়া জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। মানিক ভাইয়ের সাথেও কথা বলেছি। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার সাথে কথা বলে বিষয় ভালভাবে জেনে কিভাবে মিমাংসা করা যায় সেদিকে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এব্যাপারে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মানিক জানান, আমার ছেলের সাথে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল। আমি দুজনকেই ধমক দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। আর মাসুদের চুল দাঁড়িতে দেখতে ভাল লাগছিল না। তাই ওকে চুল দাঁড়ি ভাল ভাবে কাটতে বলছি। পরে কাটছে কিনা তাও আমি আর জানিনা। তবে আমি তাকে জোর করিনি।

হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ নূর এ আলম জানান, মারধর ও দাঁড়ি কাটার বিষয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে