প্রকাশিত সংবাদে বনবিভাগের নিন্দা ও প্রতিবাদ

মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ও মানহানিকর ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন লামা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা এ.কে.এম. আতা এলাহী। গত ২৯ মে দৈনিক দৈনন্দিন ও স্বদেশ বিচিত্রা নামের পত্রিকায় "বমু রিজার্ভের আমানত রক্ষক যখন নিজেই হয়ে যায় ভক্ষক" শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমি নিম্নস্বাক্ষরকারীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে উল্লেখিত সকল তথ্য মনগড়া, কাল্পনিক এবং বাস্তবতার সাথে যার কোনো অস্তিত্ব নেই। সম্পূর্ণ মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তার সম্মানহানী করা হয়েছে।
আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী এ,কে, এম আতা এলাহী এই মর্মে প্রতিবাদ জানাচ্ছি যে, প্রকাশিত সংবাদে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, লামা বন বিভাগ, নিম্ন স্বাক্ষরকারী এবং বিট কর্মকর্তা, বমু বিটের নাম ও ছবি ব্যবহার করে বমু রিজার্ভের পঞ্চাশোর্ধ সেগুন ও গর্জন গাছ অবৈধভাবে কর্তন, পাচার ও জোতের গাছের সাথে মিশিয়ে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে ব্যবসায়ীদের পরিবহনের সুযোগ দেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন প্রতিবেদক। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন। বাস্তবতার সাথে এসব তথ্যের বিন্দুমাত্র মিল ও প্রমাণ নেই।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় যে, বমু সংরক্ষিত বন এলাকায় অবৈধভাবে গাছ কর্তনপূর্বক নতুন করে কর্তিত গাছের মোথা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে তদন্তের আলামত নষ্ট করার বিষয় বলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪/০৫/২০২৫ তারিখে বমু সংরক্ষিত বন এলাকায় তদন্ত টিম কর্তৃক তদন্তকালে অভিযোগকারীর প্রতিনিধিগণের নিরাপত্তার ব্যঘাত ঘটানো, হেলমেট ভাঙ্গা স্থানীয় ব্যক্তি, কাঠ ব্যবসায়ী, বন বিভাগের কর্মীর সাথে কোনরূপ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জোত পারমিটের কার্যক্রম যথানিয়মে পালন করা হয়েছে। টিপির গাড়ি এবং টিপি সংক্রান্ত অন্যান্য অভিযোগ সম্পূর্ণ কাল্পনিক, মনগড়া, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
আমি আলোচ্য অভিযোগসমূহের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদে উল্লিখিত তথ্যসমুহ ব্যক্তি স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই প্রমাণ করেনা। সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা সঠিক তথ্য জেনে এবং সংগ্রহ করে নিউজ করুন। অযথা বিভ্রান্তকর তথ্য সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্যে ক্ষতিকর। আমি এসব বানোয়াট ও মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মহলকে বিভ্রান্ত না হতে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
এ.কে.এম. আত এলাহী
রেঞ্জ কর্মকর্তা, লামা রেঞ্জ, লামা বনবিভাগ।