হরিরামপুরে উৎসবের আমেজে টাইফয়েড টিকা নিলো শিক্ষার্থীরা
প্রথমে অনেক ভয় পেয়ে কান্না করেছি। পরে টিকা নেওয়ার সময় একটুও ব্যাথা পাইনি। আমার স্যার বলেছে টিকা নিলে শরীর ভালো থাকবে, তাই সাহস করে আমি টিকা নিয়েছি।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ৫৪নং দানিস্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি।
বুধবার সকাল থেকেই বিদ্যালয়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। শিক্ষার্থীরা টিকা নিচ্ছে কেউ ভয় পাচ্ছে না, বরং মুখে হাসি নিয়ে টিকা নিচ্ছে তারা।
প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৯৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এদিন ৭১ জন টাইফয়েড টিকা গ্রহণ করে। টিকাদান কর্মসূচিতে সহযোগিতা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী রায়হান মাহফুজ হাসিমুখে জানায়, 'আমি সবার প্রথমে টিকা নিয়েছি, একটুও ব্যাথা পাইনি। এখন আমি অসুখ থেকে নিরাপদ থাকব।'
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মুস্তাকিন বলে, 'ম্যাডাম বলেছিল ভয় পেতে নেই, তাই আমিও সাহস করে টিকা নিয়েছি। আমি ব্যাথা পাইনি।'
আর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাইবা জানায়, 'প্রথমে অনেক ভয় পেয়ে কান্না করেছি। পরে টিকা নেওয়ার সময় একটুও ব্যাথা পাইনি। আমার স্যার বলেছে টিকা নিলে শরীর ভালো থাকবে, তাই সাহস করে আমি টিকা নিয়েছি।'
টিকাদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম মোফাখখারুল ইসলাম, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ওমর ফারুক ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্ববধায়ক মোঃ লুৎফর রহমান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা বলেন, 'আমাদের বিদ্যালয়ে আজ ৭১ জন শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। টিকা নেওয়ার পর কারও কোনো সমস্যা হয়নি। বাকি শিক্ষার্থীদেরও দ্রুত টিকার আওতায় আনা হবে। শিক্ষকরাও পাশে থেকে শিশুদের সাহস জুগিয়েছেন।'
সিভিল সার্জন বলেন, ‘শিশু ও কিশোরদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় টাইফয়েড টিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ টিকা নিলে শিশু-কিশোরদের কোনো সমস্যা হবে না। শিশু ও কিশোরদের টাইফয়েডের মতো ঝুঁকিপূর্ণ রোগ থেকে রক্ষা পেতে এ ক্যাম্পেইন সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি একটি নিরাপদ প্রজন্ম গঠনে ভূমিকা রাখবে।