শেভ করতে দেরি হওয়ায় নরসুন্দরকে জুতাপেটা ও দোকান ভাংচুর করলেন আ.লীগ নেতা

আশুলিয়ায় সেলুনে এসে সিরিয়াল ভেঙে দাড়ি কামানোর আবদার না মেটানোয় এক নরসুন্দরকে জুতাপেটা ও দোকান ভাংচুর করে টাকা লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের টেঙ্গুরী এলাকায় এতিম মার্কেটের ‘বাদল হেয়ার কাটিং’ এ এমন ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে শহিদ ওরফে ডনকে প্রধান আসামি করে এ ঘটনায় আশুলিয়া থানা মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা।
অভিযুক্ত ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম শহিদ উদ্দিন ওরফে ডন। তিনি সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবং আশুলিয়ার টেঙ্গুরী কোনাপাড়া এলাকার মৃত জিয়র আলী মন্ডলের ছেলে। মামলার বাকি আসামীরা হলেন একই এলাকার মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে আশরাফ (৩৫) ও জয়নাল আবেদীনের ছেলে হিমেলক (৩২)।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে নরসুন্দর বাবুল চন্দ্র শীল তার সেলুনে অন্য একজনের চুল কাটছিলেন। তখন সেই ব্যক্তির চুল কাটা শেষ না করেই অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা শহিদ তার দাড়ি শেভ করতে বলেন। এসময় বাবুল ১০ মিনিট দেরি হবে বলায় তার ওপর চড়াও হন শহিদ। এক পর্যায়ে বাবুলকে জুতা দিয়ে পেটাতে থাকেন তিনি। এসময় বাবাকে মারতে দেখে তাকে বাঁচাতে পাশের চায়ের দোকান থেকে বাবুলের ছেলে বাদল চন্দ্র শীল ছুটে এলে তাকেও মারধর করে শহিদ ও তার লোকজন। পরে বাদলের চা দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও ক্যাশবাক্স থেকে ৩৬ হাজার টাকা লুট করে নেয় হামলাকারীরা।
শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বাবুল বলেন, শহিদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের ব্যপারে প্রাথমিকভাবে শুনেছি। তবে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে এবং ঘটনা বিশ্লেষণ করে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং ভুক্তভোগীকে মারধর ও দোকানপাট ভাঙচুরের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।