বীর নিবাস নির্মাণে মুক্তিযোদ্ধার কাছে টাকা দাবির অভিযোগ

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সফর উদ্দিনের কাছে বীরনিবাস নির্মাণে টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহা জাহানের স্বামী মো. নাজিমুল ইসলাম জামাল ও তার সহযোগী আমানত হোসেনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সফর উদ্দিন।
অভিযুক্ত নাজিমুল সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের পারিল রফিকনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা শ্রমিকলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সফর উদ্দিনের নামে সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে। এই কাজের ঠিকাদার নাজিমুল ইসলাম জামাল। কাজের শুরুতেই মালামাল পরিবহণ ও মাটি ভরাট কাজের জন্য ৬০ হাজার টাকা খরচ করায় সহযোগী আমানত। এরপর, ৫ মাস কাজ বন্ধ রেখে নতুন করে কাজ শুরুর জন্য ২ গাড়ি ইটের জন্য ৮০ হাজার টাকা সফর উদ্দিনের কাছে দাবী করেন তারা। টাকা না দিলে কাজ হবেনা বলে জানানো হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সফর উদ্দিন জানান, ‘ঘরের কাজ শেষ না হওয়ায় অসুস্থ স্ত্রী নিয়ে ছেলের ঘরে বসবাস করতে হচ্ছে। শুধু আমার ঘরের জন্যই তারা টাকা নেয়নি। একই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের সাথেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে ঘরে বালু ভরাটের কাজ করেছেন। এছাড়া গাজিন্দা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদকেও ২৫ হাজার টাকা বালু ভরাট ও পরিবহণের জন্য খরচ করতে হয়েছে।
এ বিষয়ে নাজিমুল ইসলাম জামালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘সরকারি বিধি মেনেই আমি বীর নিবাসের কাজ করছি। আমার পেছনে যারা লেগে আছেন তারাই মূলত এমন নোংরাভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এমন কাজ করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপন দেবনাথ বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বীর নিবাস নির্মাণে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’